Monday, September 3, 2018

ঘুরে দেখা স্বপ্নপুরি নাহেরপুর গ্রাম (2) 

                                                      ছবি ১৫। মমতা 


                                                      ছবি ১৬। This  tree log is naturally so much artistic 
                                                   (Selected photograph, Birth of Photography Exhibition hosted by                                                            Illuminator, Gallery22, Dhanmondi, Dhaka, 18th August 2018)




                                                          ছবি ১৭। অধিক বৃষ্টির কারনে চাষের পুকুর আর চাষের জমি সব পানির নিচে তলিয়ে এক হয়ে গিয়েছে। চাষের মাছ ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। গ্রামের অধিকাংশ মানুষই নিজেদের জাল দিয়ে সেসব মাছ ধরায় ব্যস্ত থাকতে দেখেছি। যেমনটি এই ছবি দেখলেই বুঝা যায়।  




                                              ছবি ১৮। চাষের পুকুর





                                                      ছবি ১৯। প্রবল বৃষ্টিতে চাষের জমি পানির নিচে তলিয়ে গিয়েছে







                                               ছবি ২০। কৃষক ওহিদুর রহমান। এটা উনার নিজের জমি। (রদ্রে চাষের এই জমি মরুভুমির মতো উত্তপ্ত হয়েছিল। ) ঘরে এক ছোট মেয়ে আর বউ নিয়ে উনার সুখের সংসার। সংসারে অভাব আছে কিন্তু উনি উনার আয় নিয়ে সন্তুষ্ট। চাষের জমির পাশাপাশি নিজের একটা দোকানও আছে। যাই হোক ধানের উৎপাদন খরচ সম্পর্কে জানতে চাইলাম। উনি বললেন উৎপাদন খরচ ইউরিয়া সারের দামের উপর নির্ভর করে অনেকটা। সারের দাম বাড়লে উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। উনি হাতে এক গোছা ধান গাছ নিয়ে বললেন এই এক গোছা থেকে ৮-১০টা ধান পাওয়া যায়।


                                               ছবি ২১। ওহিদুর রহ্মানের মেয়ে মুন্তাহা

                                             

                                              ছবি ২২। ঈদ আনন্দ 


                                                          ছবি ২৩। মহরম আলী । আইয়ুব খান আমল (পাকিস্তানি আমল ) থেকে এই গ্রামেই রিক্সা চালান । উনার নিজের কোন ছেলে মেয়ে নেই । তবে এক ছেলেকে পেলেছিলেন। ছেলেটার বিয়ে দিয়েছেন। ছেলে এখন বারইয়ার হাট পৌরসভায় রিক্সা চালায়। ছেলে মাসে উনাকে ১ হাজার করে টাকা পাঠান। ছেলের আবার একটি ছেলে শিশু আর মেয়ে শিশু আছে। মহরম আলী এখনো রিক্সা চলান । উনার প্রতিদিনের আয় মাত্র ২৫০ টাকা। এই টাকায় সংসার ঠিক মতো চলেনা উনার। উনি স্বাধীনতা যুদ্ধ নিজ চোখে দেখেছেন।



                                               ছবি ২৪। সাঁঝের বেলার আড্ডা (বলাকা বাজার, নাহেরপুর, বারইয়ার হাট, চট্টগ্রাম) 




                                                          ছবি ২৫। মোহাম্মদ জাহাঙ্গির। এই গ্রামের বিখ্যাত মুরগী বিক্রেতা। বাজারে মুরগী কেজি ১২৫ টাকা, ঠিক সেই দামেই উনি গ্রামে তা বিক্রি করছেন। তাই গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ উনার থেকেই মুরগী কিনে। উনার মতে, উনি স্বল্প লাভ করবেন কিন্তু বেশি বিক্রি করবেন। 


                                                          ছবি ২৬। উনার নাম মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন। আমার সাথে মুখমুখি হতেই নিজ থেকে এগিয়ে এসে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন ভালো আছেন? আমি ভালো আছি বলে উনাকে পাল্টা প্রশ্ন করলাম – আপনি কেমন আছেন। বললেন ভালো না। 
কেন জিজ্ঞেস করলাম। উনি বললেন অসুস্থ। জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে। বললেন উনি মানসিক রোগে ভুগছেন। কেমন মানসিক রোগ জিজ্ঞেস করাতে উনি জানালেন উনি রেগে গেলে উনার রাগ নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন না, রাগের মাথায় অনেক সময় গায়ে হাত তুলেন। পরে উনি আফসোস করছিলেন নিজের এমন বদ রাগের জন্য। ডাক্তার উনাকে ইংজেক্সান দেয়, ইংজেকশানের পিছনে খরচ হয় ১০০ টাকা। যাই হোক, শেষ এ উনি বললেন উনি সকালে নাস্তা করেন নি। তাই উনাকে কিছু টাকা দিয়ে সাহায্য করেছিলাম


নাহেরপুরের আরও কিছু ছবি- 





































No comments:

Post a Comment

My Cousin, Meenam Birthday Celebration