Monday, September 3, 2018


ঘুরে দেখা স্বপ্নপুরি নাহেরপুর গ্রাম - (১)



নাহেরপুর গ্রাম। এটি চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলার অন্তর্গত জরারগঞ্জ থানার আওতাধীন বারইয়ারহাট পৌরসভা থেকে প্রায় দেড় মাইল দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত। নাহেরপুর গ্রাম দুই ভাগে বিভক্ত- উত্তর নাহেরপুর এবং দক্ষিণ নাহেরপুর। দক্ষিণ এবং উত্তর নাহেরপুর গ্রাম দুটি ই মিরশরাই উপজেলার ৪নং ধুম ইউনিয়নের অন্তর্গত। নাহেরপুরে ৪টি বাজার রয়েছে- শান্তির হাট, মহাজনহাট, বাংলা বাজার,বলাকা বাজার। দক্ষিণ নাহেরপুরে রয়েছে একটি প্রাইমারি স্কুল, একটি হাই স্কুল এবং একটি মাদ্রাসা রয়েছে। এছাড়াও এই গ্রামে রয়েছে একটি পোস্ট অফিস, সরকারি স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র। বর্তমান সরকারের মাননীয় গৃহায়ন ও গনপূর্ত মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এই ধুম ইউনিয়নের কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রথম সারির শিল্পপতিদের অন্যতম। এছাড়া ব্রিগেডিয়ার (অবঃ) জেড. এ. খান এই ৪নং ধুম ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহি "জমিদার বাড়ি" নাহেরপুর চৌধুরী বাড়িরই কৃতি সন্তান । এই "ট্রাভেল ফটোগ্রাফির" মাধ্যমে আমি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি নাহেরপুর গ্রামের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য, মেঘলা বিকেলের সৌন্দর্য আর এখানকার সহজ সরল মানুষদের জীবন-যাপন।





                                             ছবি ১। সবুজে ঘেরা এই পথ, মুক্ত বাতাস, অন্য রকম এক অনুভূতি যা ভাষায় প্রকাশের বাইরে।






                                                              ছবি ২।  সূর্য ডুবছিল তখন



                                             ছবি ৩। সময়টা দুপুর। তালদিঘির পাড়।




                                              ছবি ৪। নাম সখীচরণ। উনার সাথে আমার পথে দেখা। দেখা হতেই এগিয়ে গেলাম। দেখলাম বস্তায় কেঁচো, তাই অবাক হয়েছিলাম কারন যেখানে কেঁচো বা জোঁক দেখলে আমরা মেরে ফেলি উনি বস্তার ভেতর রাখছেন। অতঃপর নাম জিজ্ঞেস করে কেঁচো সংগ্রহের কারন জানতে চাইলাম। উত্তরে উনি বললেন যে এই কেঁচো দিয়ে সামনের পুকুর থেকে কুইচ্চা মাছ ধরবেন। কুইচ্চা মাছ আবার কেমন জিজ্ঞেস করাতে উনি বললেন এই মাছ অনেকটা শৈল মাছের মতই। তবে বাড়ি এসে মুরুব্বীদের থেকে জানতে পারি এটা অনেকটা সাপের মতো। কুইচ্চা হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাই খেয়ে থাকে।




                                                 ছবি ৪। বিদায় লগ্নে "সখীচরণের" মুখে ছিল নির্লিপ্ত হাসি



                                            ছবি ৫। নাহেরপুর গ্রাম



                                                     ছবি ৬। ক্ষুদে ফটোগ্রাফার 


                                                           ছবি ৭। প্রবল বৃষ্টির কারণে গ্রামের উত্তর দিকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ছবিতে, এক মা তাঁর শিশু সন্তানকে কাধে নিয়ে ডোবা পথ পার হচ্ছে আর পিছনে আরেক মা তাঁর ছোট ছেলেকে শাসন করছে।
হ্যাঁ, এটাই মায়ের ভালোবাসার এক স্বচ্ছ উদাহরণ। 





                                             ছবি ৮। অধিক বৃষ্টির কারনে পুকুর ডোবা আর চাষের জমি সব পানির নিচে তলিয়ে গিয়েছে। গ্রামের অধিকাংশ মানুষই নিজেদের জাল দিয়ে সেসব মাছ ধরায় ব্যস্ত থাকতে দেখেছি। যেমনটি এই ছবি দেখলেই বুঝা যায়, ২জন লোক মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে।





                                                        ছবি ৯। এই গ্রামেরই ছেলে। নাম জিজ্ঞেস করেছিলাম। ওর নাম মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম। পড়াশুনা করো কিনা জিজ্ঞেস করাতে মুচকি হেসে বলল ক্লাস সিক্স এ পড়ে ও । ঈদের পর ওর দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা। এই গ্রামের "নাহেরপুর হাই স্কুলে" পড়াশুনা করছে ।




                                                ছবি ১০। নাম মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। তাল দিঘির পাড় যাওয়ার পথেই উনার সাথে আমার দেখা এবং অতঃপর নাম জিজ্ঞেস করলাম এবং বাড়ি কোথায় জিজ্ঞেস করাতেই এক চিলতে হাসি দিয়ে বললেন এই গ্রামেই, উনি গরু পালেন সাথে জমি চাষ করেন।







                                              ছবি ১১। এই গাড়ির ড্রাইভার। প্রতিদিন ডিম বাজারে পৌঁছে দেন। বৃষ্টিতে কাদায় তাঁর গাড়ি নোংরা হয়ে গিয়েছে, তাই একটু যত্ন আত্তি







                                                   ছবি ১২। ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঘরে ফেরা





                                            ছবি ১৩। গ্রামীণ পথে চলাচল 




                                            

                                                  ছবি ১৪।  টীটূ। এই দুরন্ত কিশোরের বয়স মাত্র ৫ বছর। ঘরে মা, বাবা আর বড় ভাই আছে। অভাবের কারণে বড় ভাই বেশিদুর পড়াশুনা করতে পারে পারেনি। এখন চট্টগ্রাম শহরে একটা ছোট খাটো বিজনেস করে। টিটু কে জিজ্ঞেস করেছিলাম পরশুনা করো কিনা? বলল এই কোরবান ঈদের পর গ্রামের মাদ্রাসায় ভর্তি হবে। বড় হয়ে কি হতে চাও জিজ্ঞেস করলাম, উত্তরে বলল “ বাপে যা বানাইব তা হমু”। কিছুটা বিস্মিত হয়েছিলাম ওর এমন কথা শুনে।






No comments:

Post a Comment

My Cousin, Meenam Birthday Celebration