Saturday, September 29, 2018

Freelance Photographer Abrar Nayeem - "তারুণ্যের উদ্দামতা"


                                      ছবিঃ তারুণ্যের উদ্দামতা, (নাহেরপুর, মিরশরাই, চট্টগ্রাম)

Friday, September 7, 2018

                                                         বিলুপ্তির পথে কাঠশিল্প




আজ দুপুরে যখন ধর্মসাগরের এদিকটায় আসলাম তখন দেখি উনি এই দুপুরে পুরি খাচ্ছেন। সাথে নিয়ে বসেছেন কাঠের তৈরি অনেক গুলি নাম, মানে মানুষের নাম। উনার নাম মোহাম্মাদ আবুল কাশেম। বাড়ি চান্দিনা। কাঠ শিল্পে আমাদের দেশে প্রায় বিলুপ্তির পথে, এরই মধ্যে উনাকে এসব ব্যবসার সাথে জড়িত থাকতে দেখে কিছুটা অবাক হলাম। কেননা এই শিল্প যেমন বিলুপ্তির পথে তেমনি এই শিল্পে লোকসানের শিকার হয়ে অনেক কাঠ শিল্পী কিংবা এই শিল্পের সাথে জড়িত বেক্তি বর্গ রা সরে এসেছেন। প্রতিটি নাম উনি ৪০ টাকা দিয়ে বিক্রি করছেন।





লাভ কেমন হয়- জানতে চেয়েছিলাম। উনি বললেন, ১০০০ নাম কিনে আনলে ১০০ নাম ও অনেক সময় বিক্রি হয় না। উনার কথায় বুঝার বাকি রইল না লাভ তেমন একটা হয় না।  
কাঠ মানুষের জীবনের এতই প্রয়োজনীয় যে, জন্মের পর দোলনা থেকে শুরু করে শবযাত্রা পর্যন্ত সবখানেই কাঠ মানুষের সঙ্গী হয়ে আছে। কাঠশিল্পীরাও কাঠের ওপর চাঁদ, তারা, পশুপাখি, লতাপাতা, প্রাকৃতিক পরিবেশসহ বিভিন্ন শিল্পকর্ম খোদাই করে তাদের শৈল্পিকতার ভাব ফুটিয়ে তুলে। পাল এবং সেন যুগেও অন্যান্য ধাতব ভাস্কর্যের পাশাপাশি কাঠ ছিল শিল্পকর্ম তৈরির জনপ্রিয় মাধ্যম। বর্তমানে ঐতিহ্যবাহী কাঠশিল্প অনেক আধুনিক হয়েছে। কাঠশিল্পীরা যা সুন্দর যা হৃদয়কে স্পর্শ করে তাই তারা নিজস্ব শৈলীতে তাদের নিজ কর্মে খোদাই করেছেন। শুধু আসবাবপত্রই নয়, কাঠশিল্প হিসেবে বাদ্যযন্ত্র, পুতুল, তৈজসপত্র, গৃহসজ্জার সামগ্রী, ভাস্কর্য, নৌকার অলঙ্করণ, একতারা, সারিন্দা, বিচিত্র বীণা ইত্যাদিও তারা তৈরি করে থাকে। কাঠশিল্পের কারুকাজসমৃদ্ধ অনেক শিল্পকর্মই আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। বর্তমানে কাঠের দুষ্প্র্রাপ্যতা ও দুর্মূল্য, দক্ষ সূত্রধরের অভাব এবং আর্থসামাজিক অবক্ষয়ের ফলে কাঠের আসবাবপত্র তৈরিতে সাধারণ মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। তা ছাড়া মজুরির অঙ্ক সাধারণ গৃহস্থের ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। প্রাচীনকাল থেকে আজ অবধি বাংলার কাঠশিল্পীরা যে অসামান্য দক্ষতা দেখিয়েছেন তা যেমন বিস্ময়কর তেমনি গৌরবোজ্জ্বল। তাই কাঠশিল্পের ইতিহাস সমৃদ্ধ ও দীর্ঘস্থায়ী। এই দারুশিল্প বাংলার হাজার হাজার বছর ধরে চলমান রয়েছে। বর্তমানে তা বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে।

Monday, September 3, 2018

Children of Naherpur Village Don't Get a Second Chance at Education .

ROSC and Govt. Attention Needed  



Location: South Naherpur Village, Baroiyr Hat, Mirsarai, Chittagong. ( নাহেরপুর গ্রাম চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলার অন্তর্গত জরারগঞ্জ থানার আওতাধীন বারইয়ারহাট পৌরসভা থেকে প্রায় দেড় মাইল দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত।)  
Photo: Freelance photographer Abrar Nayeem Chowdhury











Poverty Shattered Their Education Dreams But Still They are Happy With What They have. 




Their fathers work as a day labourer  and could not spend much for their daughter's education.








Highlights
  • 1.Reaching Out-of-School Children (ROSC) gives a second chance to Bangladeshi children who didn’t start primary school when they should have. (        http://www.worldbank.org/en/news/feature/2014/01/27/second-chance-education-for-children-in-bangladesh    )
  • 2.ROSC has since 2002 enrolled nearly 690,000 out-of-school children in 20,400 Ananda Schools located in 148 poorest areas of Bangladesh
  • 3.The Ananda Schools notably adapt teaching to serve each child’s level of learning and special circumstances. 



But There is no Ananda Schools in Naherpur Village. So, the Authorities of ROSC should built some schools and gives a second chance to naherpur Children who didn't start Primary School. 

ঘুরে দেখা স্বপ্নপুরি নাহেরপুর গ্রাম (2) 

                                                      ছবি ১৫। মমতা 


                                                      ছবি ১৬। This  tree log is naturally so much artistic 
                                                   (Selected photograph, Birth of Photography Exhibition hosted by                                                            Illuminator, Gallery22, Dhanmondi, Dhaka, 18th August 2018)




                                                          ছবি ১৭। অধিক বৃষ্টির কারনে চাষের পুকুর আর চাষের জমি সব পানির নিচে তলিয়ে এক হয়ে গিয়েছে। চাষের মাছ ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। গ্রামের অধিকাংশ মানুষই নিজেদের জাল দিয়ে সেসব মাছ ধরায় ব্যস্ত থাকতে দেখেছি। যেমনটি এই ছবি দেখলেই বুঝা যায়।  




                                              ছবি ১৮। চাষের পুকুর





                                                      ছবি ১৯। প্রবল বৃষ্টিতে চাষের জমি পানির নিচে তলিয়ে গিয়েছে







                                               ছবি ২০। কৃষক ওহিদুর রহমান। এটা উনার নিজের জমি। (রদ্রে চাষের এই জমি মরুভুমির মতো উত্তপ্ত হয়েছিল। ) ঘরে এক ছোট মেয়ে আর বউ নিয়ে উনার সুখের সংসার। সংসারে অভাব আছে কিন্তু উনি উনার আয় নিয়ে সন্তুষ্ট। চাষের জমির পাশাপাশি নিজের একটা দোকানও আছে। যাই হোক ধানের উৎপাদন খরচ সম্পর্কে জানতে চাইলাম। উনি বললেন উৎপাদন খরচ ইউরিয়া সারের দামের উপর নির্ভর করে অনেকটা। সারের দাম বাড়লে উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। উনি হাতে এক গোছা ধান গাছ নিয়ে বললেন এই এক গোছা থেকে ৮-১০টা ধান পাওয়া যায়।


                                               ছবি ২১। ওহিদুর রহ্মানের মেয়ে মুন্তাহা

                                             

                                              ছবি ২২। ঈদ আনন্দ 


                                                          ছবি ২৩। মহরম আলী । আইয়ুব খান আমল (পাকিস্তানি আমল ) থেকে এই গ্রামেই রিক্সা চালান । উনার নিজের কোন ছেলে মেয়ে নেই । তবে এক ছেলেকে পেলেছিলেন। ছেলেটার বিয়ে দিয়েছেন। ছেলে এখন বারইয়ার হাট পৌরসভায় রিক্সা চালায়। ছেলে মাসে উনাকে ১ হাজার করে টাকা পাঠান। ছেলের আবার একটি ছেলে শিশু আর মেয়ে শিশু আছে। মহরম আলী এখনো রিক্সা চলান । উনার প্রতিদিনের আয় মাত্র ২৫০ টাকা। এই টাকায় সংসার ঠিক মতো চলেনা উনার। উনি স্বাধীনতা যুদ্ধ নিজ চোখে দেখেছেন।



                                               ছবি ২৪। সাঁঝের বেলার আড্ডা (বলাকা বাজার, নাহেরপুর, বারইয়ার হাট, চট্টগ্রাম) 




                                                          ছবি ২৫। মোহাম্মদ জাহাঙ্গির। এই গ্রামের বিখ্যাত মুরগী বিক্রেতা। বাজারে মুরগী কেজি ১২৫ টাকা, ঠিক সেই দামেই উনি গ্রামে তা বিক্রি করছেন। তাই গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ উনার থেকেই মুরগী কিনে। উনার মতে, উনি স্বল্প লাভ করবেন কিন্তু বেশি বিক্রি করবেন। 


                                                          ছবি ২৬। উনার নাম মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন। আমার সাথে মুখমুখি হতেই নিজ থেকে এগিয়ে এসে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন ভালো আছেন? আমি ভালো আছি বলে উনাকে পাল্টা প্রশ্ন করলাম – আপনি কেমন আছেন। বললেন ভালো না। 
কেন জিজ্ঞেস করলাম। উনি বললেন অসুস্থ। জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে। বললেন উনি মানসিক রোগে ভুগছেন। কেমন মানসিক রোগ জিজ্ঞেস করাতে উনি জানালেন উনি রেগে গেলে উনার রাগ নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন না, রাগের মাথায় অনেক সময় গায়ে হাত তুলেন। পরে উনি আফসোস করছিলেন নিজের এমন বদ রাগের জন্য। ডাক্তার উনাকে ইংজেক্সান দেয়, ইংজেকশানের পিছনে খরচ হয় ১০০ টাকা। যাই হোক, শেষ এ উনি বললেন উনি সকালে নাস্তা করেন নি। তাই উনাকে কিছু টাকা দিয়ে সাহায্য করেছিলাম


নাহেরপুরের আরও কিছু ছবি- 





































My Cousin, Meenam Birthday Celebration